Cart

Your Cart is Empty

Back To Shop

Cart

Your Cart is Empty

Back To Shop

কোটা সংস্কার আন্দোলন

কোটা সংস্কার আন্দোলন

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতায় এখন পর্যন্ত নিহত ১৫০ জন (সরকারি হিসাব)। এর মধ্যে অনেকেই শিক্ষার্থী। গুলিবিদ্ধ হয়ে অনেক শিক্ষার্থী কাতরাচ্ছেন হাসপাতালের বিছানায়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ অনির্দিষ্টকালের জন্য। কবে ফিরবে ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ, কবে খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান- তা জানে না কেউ। আন্দোলনে জড়িয়ে নিজেদের নিরাপত্তা শঙ্কা তো আছেই।

শিক্ষার্থীরা যখন চরম দুঃসময় পার করছেন, ঠিক তখন নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে ‘দেনদরবারে’ বসেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। গত ১ জুলাই থেকে সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে তারা সর্বাত্মক কর্মবিরতি করে আসছেন। ১৫ জুলাই পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচিও করেন। কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নিলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পর সশরীরে কোনো কর্মসূচি করছেন না শিক্ষকরা।

শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকরা বলছেন, শিক্ষকদের উচিত ছিল এ দুঃসময়ে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো। আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি নিয়ে সরকারের কাছে যাওয়া। গণগ্রেফতার অভিযানে শিক্ষার্থীদের যাতে হয়রানি না করা হয়, সেদিকে নজর দেওয়াও উচিত ছিল। প্রয়োজন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার পরিবেশ ফেরাতে তৎপর হওয়া। অথচ সেই সময়ে তারা নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন, যা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুঃখজনক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে জুন মাসের মাঝামাঝি থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন দেশের ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সবশেষ গত ১ জুলাই থেকে তারা সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি করছেন। মাঝে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গেও বৈঠক করেন। তাতে দাবি পূরণে আশ্বাস না পাওয়ায় কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তবে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলমান পরিস্থিতিতে তাদের আন্দোলন চাপা পড়ে যায়।

রোববার (২৮ জুলাই) রাতে হঠাৎ গণমাধ্যমকে জানানো হয়, সোমবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে পেনশন স্কিমে শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি নিয়ে বৈঠকে বসবেন। এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে অনেক শিক্ষাবিদ ও অভিভাবক সমালোচনা শুরু করেন। তবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী—সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসে শিক্ষকদের প্রতিনিধিদল।

সূত্রঃ 30, july jagonews24.c0m

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Cart

Your Cart is Empty

Back To Shop